মাদারীপুর সদর উপজেলার ছোট দুধখালী গ্রামের যুবক সজিব হোসাইন সাদ্দাম। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে ২০১৮ সালে, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে ভ্রমণে যান তিনি। সেখানে গিয়ে ড্রাগন ফল চাষে সাফল্য দেখে চারা নিয়ে এসে নিজ জমিতে গড়ে তোলেন বাগান।
২০২০ সালে, তিন একর জমিতে স্থাপন করেন ১১শ’ ড্রাগনের খুঁটি। এতে তার খরচ হয় ৩৫ লাখ টাকা। খুঁটিগুলোতে সাড়ে ৪ হাজার ড্রাগনের চারা লাগানোর দেড় বছরের মাথায় প্রতিটি গাছে আসে ফুল আর ফল। গত বছর, বন্যার কারণে তার বাগানে ফলন কম হলেও বছর শেষে সব ক্ষতি পুঁষিয়ে নেয়ার আশা এ উদ্যোক্তার।
শুধু সজিবই নন, তার মতো জেলার আব্দুর রহমান, গনি শেখ, তুষার বেপারীসহ অসংখ্য যুবক বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন ড্রাগন ফলের চাষ। এতে একদিকে যেমন তারা নিজেরা হয়েছেন স্বাবলম্বী অন্যদিকে, তাদের বাগানে কাজ করে এলাকার অনেকেরই হয়েছে কর্মসংস্থান।
এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, জেলায় ড্রাগন ফল চাষে সাফল্য বাড়াতে বাগানিদের মাঝে বিনামূল্যে চারা ও সার বিতরণের পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে নানা দিক-নির্দেশনা ।
ভালো ফলন ও বাজারে চাহিদা থাকায় প্রতিবছরই মাদারীপুরে বাড়ছে ড্রাগন চাষের পরিধি। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল জেলায় বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা কেজি দরে।