রংপুরে চলছে শীতের আগাম শাক-সবজির চাষ। কৃষকরা বলছেন, শীতকালীন আগাম সবজি চাষে বাড়তি পরিচর্যায় ব্যয় বেশি হলেও বাজার দর ভালো পাওয়া যায়। আর তাই ক্ষেতে ক্ষেতে নতুন ফসল লাগানো ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এদিকে, কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বীজ ও কৃষি উপকরণের কারণে কিছুটা বিপর্যয় ঘটলেও এবার যথাসময়ে শীতের শাকসবজির চারা কৃষকের হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
রবি মৌসুম আসন্ন। আর তাই সূর্যদয়ের সাথে সাথেই শীতের আগাম শাকসবজির পরিচর্যায় মাঠে নেমে পড়ছেন রংপুরের কৃষকরা। ইতিমধ্যেই অনেকেই শীতকালীন শাক, ফুলকপি, বাধাকপি, লাউ, শীম ছাড়াও নানা জাতীয় রবিশস্য বিক্রিও শুরু করেছেন।
শীতকালিন আগাম শাক-সবজি চাষে লাভবান হলেও এ অঞ্চলের কৃষকরা জানান, পর্যাপ্ত ভালোমানের বীজ ও কৃষি উপকরণের অভাবে এসব সবজি চাষে বেগ পেতে হয় তাদের। কৃষি অধিদপ্তর থেকেও মেলে না প্রয়োজনীয় সহযোগিতা।
তবে, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, কৃষকদের মাঝে আগাম বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
রংপুরে এবার ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম রবিশস্যের চাষাবাদ হচ্ছে। তবে, গত বছরের তুলনায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বাড়বে বলে ধারণা কৃষি বিভাগের।