সয়াবিন ও পাম তেল কিনতে আগামী শনিবার থেকে ক্রেতাদের বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হবে। কারণ, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে রিফাইনাররা সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার অ্যাসোসিয়েশন আগামী সপ্তাহের ৮ জানুয়ারি থেকে একই বোতলের দাম বাড়িয়ে ১৬৮ টাকা দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
সমিতি বলেছে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম বাড়াতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু, সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে দাম বাড়ানো থেকে রিফাইনাররা বিরত ছিলো।
তবে, আমদানি ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান দাম বজায় রাখা সম্ভব নয় বলে তাদের সর্বশেষ চিঠিতে বলা হয়েছে।
গত নভেম্বরে রিফাইনাররা প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে থেকে ১৭২ টাকা করতে চেয়েছিল।
কিন্তু, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে সমিতি ৪ টকা কমে অর্থাৎ প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
গত বছরের মে মাসের পর এবার দিয়ে চতুর্থবারের মতো দাম বৃদ্ধির ঘোষণা করা হলো।
নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম এমন সময়ে বাড়তে যাচ্ছে যখন আন্তর্জাতিক বাজরে দাম বৃদ্ধি, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হার, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।
গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৯৮ শতাংশ যা ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে টানা চার মাস যাবত মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের মতে, বাংলাদেশ বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্য তেল ব্যবহার করে এবং দেশীয় চাহিদা মেটাতে ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়।
রিফাইনাররা জানিয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে সয়াবিন তেলের ৫ লিটার বোতলের সর্বোচ্চ খুচরা দাম হবে ৮০০ টাকা।
বাংলাদেশের ট্রেডিং কর্পোরেশনে তথ্যানুযায়ী, গতকাল ঢাকার খুচরা বাজারে ক্রেতারা ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনেছেন ৭৫০ টাকা পর্যন্ত দামে।
এক বছর আগের একই দিনে দাম ছিল ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা থেকে। সেই হিসেবে বর্তমান দাম ২৯ শতাংশ বেশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, সমিতি পাম তেলের দাম বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।