চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানির পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজার থেকেও আয় বাড়িয়েছে সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়ীরা। জানান, লকডাউনের মধ্যেও কারখানা চালু রাখতে সরকারের নীতি সহায়তার কারণেই বেড়েছে রপ্তানি।
চলতি অর্থবছরটা যেন দেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর। প্রথম ৬ মাসে যার প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বছর ব্যবধানে দেশটিতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ।
এরপরেই জার্মানি। বরাবরের মতই যুক্তরাজ্য, স্পেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে শীর্ষ বাজারের তালিকায়। যেখানে গড় প্রবৃদ্ধি ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বিজিএমএইএর সহ সভাপতি শহীদ উল্লাহ আজিম জানান, যদি লকডাউনে আমাদের কারখানাগুলো বন্ধ থাকত তাহলে এ প্রবৃ্দ্ধি হত না। বর্তমানে আমাদের যে অর্ডার আছে, তাতে আগামি জুলাই পর্যন্ত এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব।
তৈরি পোশাকের অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোতেও এ অর্থবছরে বাড়ছে রপ্তানি। যে তালিকার শীর্ষে জাপান। দেশটিতে বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত রপ্তানি করেছে প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এরপরেই অস্ট্রেলিয়া, ভারত, রাশিয়ার মতো দেশগুলোর অবস্থান। সবমিলিয়ে অপ্রচলিত বাজারগুলোতে অর্থবছরের প্রথমার্ধ্বে আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশের বেশি।
তবে এমন অবস্থায়ও তৃপ্তির ঢেকুর তোলার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাদের পরামর্শ, আগামী দিনের কথা ভেবে থাকতে হবে সতর্ক।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর এই সময়ে সবচেয়ে বেশি হারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে চিলিতে আর সবচেয়ে কমেছে মাল্টায়।