এক সময় বাড়ির আঙ্গিনা ও ঝোঁপঝাড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া এবং বেড়ে ওঠা আলু এখন চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিক ভাবে। যা পান আলু বা গাছ আলু নামে পরিচিত। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই আলু যখন বিলুপ্তির পথে, তখন দেশের অন্যান্য জায়গার মতো কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে পান আলুর চাষ হচ্ছে। অল্প খরচ, তবে উৎপাদন ও বাজার মূল্য বেশি থাকায় দিন দিন এই আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামে চাষ করা হয়েছে পান আলু। এই আলু গাছ এক সময় বাড়ির আঙ্গিনা ও ঝোঁপঝাড়ে বেড়ে উঠতো। মানুষের ভূমি চাহিদা বাড়ার প্রভাবে পুষ্টিগুণে ভরা লতানো এই আলু এখন বিলুপ্তির পথে।
এই আলু চাষের জন্য আলাদা জমি, সার ও বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয় না। এটি রিলে ফসল হিসেবে ফলন দেয়। জমিতে মাচা তৈরি করে কুমড়া, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা ফলনের সাথিই এটি রোপণ করা হয়। খরচ কম ও বিনা পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়ায় এই আলু চাষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এই উপজেলায় অধিকাংশ এলাকার মাটি দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ হওয়ায় এবং উপযোগী পরিবেশ থাকায় পান বা গাছ আলু বিনা খরচে আবাদ করা সম্ভব। তাই স্থানীয় কৃষকদের বাণিজ্যিকভাবে এ আলু চাষ বাড়াতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে, উপজেলায়, গাছ আলু চাষে কৃষকদের সঠিক পরার্মশ দেয়ার পাশাপাশি সরকারি সকল সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলম।
চলতি মৌসুম সারাদেশে ১ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে গাছ আলুর চাষ হয়েছে যার মধ্যে এ উপজেলাতেই চাষ হয়েছে ৪শ হেক্টর।