বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেছেন, আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ এখন রিজার্ভ ধরে রাখা। আমাদের পেমেন্ট আছে, আকুর দায় পরিশোধ হয়েছে। এসব কারণে রিজার্ভ কমছে। এর মাঝে আরও অর্থ সমন্বয় (রপ্তানি আয়, রিজার্ভ) হবে। রিজার্ভ কমছে এটা ঠিক, আবার বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান সফর নিয়ে মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। তিনি যেসব দেশে গেছেন সেসব দেশে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। তার সফরের পর রিজার্ভ (বিনিয়োগ) বাড়বে।
আইএমএফ বলেছে, সামষ্টিক অর্থনীতি চাপে আছে। এ বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, আমাদের দেশের অর্তনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এরমধ্যে কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। ডলার রেট ছিল, সেটি একটি জায়গায় এসেছে। তবে কোভিড ছাড়া সব চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আমরা আছি। তাছাড়া ভূ-রাজনৈতিক কারণেও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে।
আইএমএফ-এর শর্ত নিয়ে তিনি বলেন, আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে তার বেশিরভাগ পূরণ হয়েছে। তারা এতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নিজস্ব পলিসি নিয়ে এগুচ্ছো। আবার আগামী অক্টোবর পর্যন্ত সময় আছে। আমরা এসময়ের মধ্যে সব করতে পারবো।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির পর চরম আকারের ডলার সংকটে পড়ে দেশ। যদিও ডলার সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবুও রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। বরং আমদানি বিল পরিশোধে প্রতিনিয়তই রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন দেশের রিজার্ভ রয়েছে ৩০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এরই মধ্যে চলতি মাসে ১ বিলিয়নের বেশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক রোববার বন্ধ থাকায় হিসাব সমন্বয়ক দেশের রিজার্ভ থেকে এ হিসাব সমন্বয় হয়নি। তবে হিসাব সমন্বয় হলে অর্থাৎ আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।