ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (বশেমুমেক) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল (১৮) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত সাতদিনে তিনজনের মৃত্যু হল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোহলে মাগুরা সদর উপজেলার আমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাখো মিয়ার ছেলে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন রাত সোয়া ৮টার দিকে মারা যান। রাতে মৃত কিশোরের মামা ইউনুস মিয়ার হাতে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বশেমুমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ২১ জুন। ওইদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহানার বেগম (৩৯) নামে এক গৃহবধূ। এছাড়া ২৭ জুলাই মৃত্যু হয়েছে রুমা দাস (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত জানুয়ারি থেকে শুক্রবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত ফরিদপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৪৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭০৮ জন, মারা গেছেন ৩ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩৮ জন।
বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪৯, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১, সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ ও চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিনদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এ অবস্থায় সকলের সচেতনতা ছাড়া শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য।