দিন আগেই যে পিচে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ, সেই একই পিচে এবার দেখতে হল ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রদর্শনী। ২০০ রানও করা হয়নি। ম্যাচ হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। বোলারদের ইকোনমি রেট প্রসংশার যোগ্য হলেও ব্যাটারদের কাছ থেকে যথাযথ স্কোর না আসায় লড়াইয়ের আগেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
অথচ লাহোরের এই উইকেটে রান এসেছে ভুরি ভুরি। নেপালের বিরুদ্ধে পাকিস্তান তিনশ পেরুনো ইনিংস খেলেছে। বাংলাদেশও করেছে একইরকম স্কোর। শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তান ম্যাচটাও দেখেছে রানের বন্যা। কিন্তু বাংলাদেশই গতকাল অলআউট হল ২০০ রান স্পর্শ করার আগে। হারের মত দলের সহকারী কোচ নিক পোথাসের সহজ উক্তি, এখনও উন্নতির দরকার আছে।
লাহোরের ব্যাটিং উইকেটেও এমন হতাশাজনক ব্যাটিং কেন জানতে চাইলে সহকারী কোচ পোথাসের ভাষ্য, ‘আমরা সম্ভবত প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণের জন্য কাজটা সহজ করে তুলেছিলাম। এই গরমের মধ্যে ওদের সুযোগ দিয়ে গেছি। ব্যাটসম্যানদের উচিত ছিল ম্যাচটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া। ভালো মানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলার ধরন ও রকমই হওয়া উচিত। এখানে আমাদের উন্নতির দরকার আছে।’
আগের ম্যাচে ভারতের ১০ উইকেটের সবকটাই গিয়েছে পাকিস্তানি পেসারদের দখলে। এই ম্যাচেও নয় উইকেট নিয়েছেন পেসাররাই। ম্যাচের আগে শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ আর হারিস রউফদের নিয়ে ভয় ছিল, সেই ভয়টাই যেন পুরোপুরি বাস্তব হলো। শামীম পাটোয়ারি যদি ইফতেখারের বলে আউট না হতেন, তাহলে হয়ত এই এই ম্যাচেও দশ উইকেটের সবটা পেসাররাই পেতে পারত।
পাকিস্তানের এমন বোলিং আক্রমণ সামলানোটা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন মানছেন পোথাসও, ‘আমার মনে হয় না আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব বেশি খেলি। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা একটি দলের বিপক্ষে খেলা খুব সহজও নয়। ওরা বিশ্বের এক নম্বর দল। এই মাঠের কন্ডিশনও বিশ্বের যেকোনো দলের চেয়ে ভালো জানা ওদের।’
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হল টুর্নামেন্টের পাকিস্তান পর্ব। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দুই দলই এখন উড়াল দেবে শ্রীলঙ্কায়। যেখানে শনিবার (৯ আগস্ট) টাইগারদের প্রতিপক্ষ লঙ্কানরা। আর পরদিন (১০ আগস্ট) পাকিস্তানের মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে।