ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বিনোদনের জন্য মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর, বৃটিশ বেনিয়াদের আমঝুপি কুঠিবাড়ি ও ভাটপাড়া কুঠিবাড়ি এবং জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। পর্যটকদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই থাকছে না মুজিবনগরে। বিনোদনের জন্য মেহেরপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের ভিড় জমছে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে। ঈদের দিন থেকে লোকজনের সমাগম। শুক্রবার বিকেলেও ছিল উপচে পড়া পর্যটক। এমন চলবে আরো দুই/তিনদিন। এমনটা জানালেন স্থানীয়রা।
স্বাধীনতার সূতিকাগার মেহেরপুরের মুজিবনগর, বিনোদন পিয়াসীদের আকর্ষণের অন্যতম জায়গা ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্স। যেখানে দাঁড়িয়ে একনজরে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশটাকে দেখা যায়। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে একদিনের জন্য হলেও বিনোদনের প্রত্যাশায় বাস-ট্রাক, মোটর সাইকেল, নছিমন, করিমন, , আলমসাধুযোগে মুজিবনগরে ভিড় জমাচ্ছে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুরা। স্থানীয় দর্শনার্থী ছাড়াও মাইক, ব্যান্ড ও ভেপু বাজিয়ে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমেছে মুজিবনগরে। ভ্রমণ পিপাসু এসব মানুষের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে মুজিবনগর কমপ্লেক্স।
মুজিবনগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা কমপ্লেক্সে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র, স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন মূর্যাল, সরকারি শিশু পরিবার, ছয়স্তর বিশিষ্ট গোলাপ বাগান, শাপলা চত্বরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। মুজিবনগরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ এখানে আসা পর্যটকরা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, বিনোদনের জন্য স্ব-পরিবারে এখানে ঘুরতে এসেছি। সন্তানদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সেক্টরভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে পারছি। তাই খুব ভালো লাগছে। ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নানাবাড়ি ঈদ করতে এসেছেন শাহীন। তিনি মুজিবনগরে বেড়াতে এসেছেন। তিনি বললেন, শুনেছি ঐতিহাসিক মুজিবনগরের কথা। আজ চোখে দেখলাম।
মুজিবনগর কমপ্লেক্সে আনসারদের নেতৃত্বে পাহারায় আছেন অর্ধশতাধিক আনসার সদস্য। ঈদ-পরবর্তী অতিরিক্ত লোক সমাগমে যে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য এখানে নজরদারি রেখেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।