বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে, নয় ম্যাচে টাইগাররা পেয়েছে মাত্র দুই জয়। শত আশার ফানুস উড়ানো বিশ্বকাপে টাইগারদের চূড়ান্ত ফলাফল এটাই। ব্যর্থতায় মোড়া বিশ্বকাপ দেখে হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরাও। নানা আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই এবার সাকিব-পাপনদের পদত্যাগের দাবিতে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিশ।
বিশ্বকাপে ‘ব্যর্থতার দায়ভার কাঁধে নিয়ে’ জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বরাবর গতকাল নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার রেজিস্ট্রি ডাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, সাকিব আল হাসান নিজ দলের বাজে পারফরমেন্স অকপটে স্বীকার করেছেন যা অধিনায়ক হিসাবে তার ব্যর্থতাকে সুস্পষ্ট করেছে। এবারের বিশ্বকাপে সাকিব টুর্নামেন্টের মাঝেই দলকে ফেলে দেশে এসেছিলেন অনুশীলন করতে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে খেলা চলাকালীন বিজ্ঞাপনের শুটিং করে সমালোচিত হয়েছিলেন। সাকিবের মতো একজন উঁচু মাপের খেলোয়াড়ের কাছে সমগ্র জাতি আরও পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
ক্রিকেট দলীয় খেলা হলেও দল গড়তে, একাদশ সাজাতে বাংলাদেশে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে গুরুত্ব দেয় বিসিবি। আর এ জন্য চড়া মূল্যই দিতে হয় বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলকে। অথচ এ ব্যাপারেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বরাবরই নীরব ভূমিকা পালন করেছে। যার দায়ভার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কোচিং স্টাফ ও নির্বাচক কমিটি বাতিলের কথা বলা হয়। একইসঙ্গে আইসিসি পুরুষ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি করা হয়। তা না হলে, প্রচলিত আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেন এই আইনজীবী।