দুই বাংলার বিনোদন দুনিয়ায় হঠাৎই আলোচনার শীর্ষে মিথিলা। শুক্রবার এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছেন সৃজিত আর মিথিলা। ওপার বাংলায় বহু দিন ধরেই বিনোদন দুনিয়ায় পরিচিত নাম মিথিলা।
১৯৮৪ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহন করেন মিথিলা । পুরো নাম, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা হলেও বেশ পরিচিত নাম মিথিলা । তিনি বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, অভিনেত্রী এবং মডেল।
নাটকের মধ্যে রয়েছে
ছোট থেকেই মেধাবী মিথিলা তিনি প্রথম ভর্তি হন লিটল জুয়েলস স্কুলে। এরপর তিনি ভর্তি হন ভিকারুননেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজে।
এখান থেকেই এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন।
এরপর তিনি আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষার জন্য গমন করেন। তিনি সম্প্রতি দ্বিতীয় মাস্টার্স করেছেন আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশানালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি কত্থক, মণিপুরী এবং ভারতনাট্যমের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নজরুলগীতির সুগায়িকা মিথিলার অন্য শখ হল ছবি আঁকা এবং অভিনয়। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ও করেছেন পিপলস থিয়েটার গ্রুপে। ২০০২ সালে শুরু মডেলিং কেরিয়ার। এরপর বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রথম সারির সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হয়েছেন তিনি।
মডেলিং করতে করতেই আসে অভিনয়ের সুযোগ। মিথিলার অভিনয়ে হাতেখড়ি মিউজিক অ্যালবাম দিয়ে। এরপর টেলিফিল্ম। মিথিলার অভিনীত টেলিফিল্মগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়।
অভিনেত্রী-মডেল-গায়িকা মিথিলা একজন সমাজকর্মীও। তিনি ব্রাক ইন্টারন্যাশনাল-এর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট প্রোগাম-এর প্রধান। গত এগারো বছর ধরে মিথিলা এই বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।
দু’বছরের প্রেমপর্বের পরে ২০০৬-এর অগস্টে মিথিলা বিয়ে করেন বাংলাদেশের গায়ক-সুরকার তহসান রহমান খানকে। বিয়ের পরে উভয়ে যৌথভাবে বের করেছেন একাধিক গানের এ্যালবাম ।
২০১৩ সালে জন্ম তাঁদের একমাত্র মেয়ে আইরা তেহরিম খানের। তহসান-মিথিলার এগারো বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে।
দু’বছর একা থাকার পরে ৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিয়ে করেন ভারতের এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে ।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় দক্ষিণ কলকাতায় লেক গার্ডেনসে সৃজিত মুখার্জির বাসায় তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি