বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ । তিনি বলেন এ ধরনের বিনিয়োগ এজেন্ডা-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আর্থিক ঘাটতি পূরণে দেশের জন্য সহায়ক হবে।
গতকাল (মঙ্গলবার) এশিয়া প্যাসিফিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এজেন্ডা-২০৩০ বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন সংগ্রহ করা।’
রাষ্ট্রপতি আরো বেশী সক্রিয় হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বেসরকারি খাতের বাড়তি অংশগ্রহণের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ এবং কার্যকর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা কাক্সিক্ষত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার খুবই উদার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতি চালু করে বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) সংরক্ষনে বিভিন্ন বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগকে (এফডিআই) স্বাগত জানাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতি সম্প্রদায়ে একটি সক্রিয় অংশীদার হতে চায়।
আইসিসি’র শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ইউএন এসকাপ, আইসিসি, এডিবি এবং এফডিআই’র সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) ‘ফিন্যান্সিং ইনক্লুসিভ এন্ড সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এফডিআই ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও শিল্প নীতি সে অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়েছে। অধিক ও টেকসই বিদেশী এবং অভ্যন্তরিন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি এই অঞ্চলে বাংলাদেশকে অতি দ্রুত অগ্রসরমান দেশ হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ অনেক বাধা বিপত্তি এড়িয়ে বিগত কয়েক বছরে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অজর্নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে এবং জাতিসংঘ মানব উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।
আবদুল হামিদ বলেন, পাশাপাশি বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) ইনক্লুসিভ উন্নয়ন সূচকে ৩৬ তম অবস্থানে এবং গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ সূচকে ৪৮ তম অবস্থানে রয়েছে।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ড. আন্তোনিও গুতেরেজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে একটি বার্তা পাঠ করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এসকাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়া আলিসজাহবানা প্রমুখ ।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি