ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ও জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় বড়দিনে টাইফুনের আঘাতে কমপক্ষে ১৬ ব্যক্তির প্রাণহানী ঘটেছে। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়। খবর এএফপির।
ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া টাইফুন ফানফোন ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ফেলেছে। ফলে সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় এখনো ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।
তবে দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ভিসায়াসের শহর ও গ্রামসমূহে ১৬ জনের প্রাণহানির কথা নিশ্চিত জানা গেছে। বোরাকায়, কোরন এবং অন্যান্য অবকাশ কেন্দ্রসমূহে এই টাইফুন আঘাত হানে।
কালিবো বিমান বন্দরে আটকে পড়া কোরিয়ার এক পর্যটক সেখানে থেকে এএফপিকে ছবি পাঠিয়েছে। তিনি জানান, কালিবো বিমান বন্দর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জুং বাইয়ুং ইনস্টাগ্রাম মেসেঞ্জারে জানান, সেখানে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেয়ার কিছু প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। বিমান বন্দরের ১০০ মিটার এলাকায় ভগ্নদশা দেখা গেছে। ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় সেখানে অনেকে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘এখনো ট্যাক্সি চলছে তবে বৃষ্টি ও বাতাস থাকায় কেউ বিমানবন্দর ত্যাগ করতে চাইছিলাম না।’
টাইফুন ফানফোন একই অঞ্চলে ২০১৩ সালে আঘাত হানা সুপার টাইফুন হায়ানের চেয়ে অনেকটাই দুর্বল প্রকৃতির। ওই দুর্যোগে ৭,৩০০ লোকের প্রাণহানি ঘটেছিল। (বাসস)
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি