ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতি রুশ সমর্থনের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কারাকাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে সতর্ক করেন। খবর এএফপি’র।
মাদুরো ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুনঃর্নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তার সরকারের ওপর অবরোধ আরোপ এবং একে স্বৈরাচারী হিসেবে অভিহিত করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ভেনিজুয়েলান দূত এলিয়ট আব্রামস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত অবরোধ, ব্যক্তির ওপর অবরোধ এবং অর্থনৈতিক অবরোধের কথা বিবেচনা করছি। এসব অবরোধের মাধ্যমে আরো চাপ সৃষ্টি সম্ভব বলে মনে করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কি ধরণের অবরোধ আরোপ করবে সে সম্পর্কে আব্রামস স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন, ভেনিজুয়েলার প্রতি রুশ সমর্থনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র গভীর দৃষ্টি রাখছে।
আব্রামস বলেন, রাশিয়া মূলত ভেনিজুয়েলার ‘তেল অর্থনীতির’ প্রতি আগ্রহী। তবে বিগত বছরগুলোতে মস্কোর ওপর মাদুরো ক্রমান্বয়ে নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।
আব্রামস বলেন, ‘বর্তমানে ভেনিজুয়েলার তেলের ৭০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সে কারণে রাশিয়ার ভূমিকা ক্রমান্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
এদিকে বিরোধী নিয়ন্ত্রিত জাতীয় সংসদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার বিষয়ে মাদুরোকে চাপ দেয়ার ব্যাপারে রাশিয়া জড়িত কিনা সে সম্পর্কে আব্রামস তার ধারণার কথা কিছু বলেননি।
ওয়াশিংটন ভেনিজুয়েলার বিরোধী নিয়ন্ত্রিত জাতীয় সংসদকেই একমাত্র গণতান্ত্রিক সংস্থা বলে বিবেচনা করছে।
পুলিশ রোববার বিরোধী দলীয় নেতা এবং স্ব- ঘোষিত অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট জুয়ান গোয়াইদোকে সংসদে প্রবেশ করতে দেয়নি। তার অনুপস্থিতিতে বিরোধী আইন প্রনেতা লুইস পারা নিজেকে স্পীকার ঘোষণা করেছেন।
মাদুরো মূলত ক্ষমতায় থাকলেও গুয়াইদোও নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করলে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৫০ টি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং কিউবা মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।সুত্র:বাসস
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি