কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের বানিয়াগ্রামে শামসুদ্দিন কাদির ফাউন্ডেশন কর্তৃক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর নামে এলাকাবাসীকে ১৫০০শ টাকা করে টিউবয়েল ও ২৬০০শ টাকা করে সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দালাল চক্রের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষের সরল মনকে পুজি করে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। পড়াশোনা জানা না থাকলেও প্রতারক আবদুর কাদির অন্যের ফার্ম ভাড়া করে কলেজ খোলার পায়তারাও করেন। যদিও শামসুদ্দিন কাদির ফাউন্ডেশন নামে সরকারি কোনো অনুমোদন নেই। কিন্তু নিরীহ মানুষদের সাহায্য দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন লাপাত্তা রয়েছে। আবদুল কাদির কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভোক্তভোগী।
প্রতারক আবদুল কাদিরকে খুঁজতে অনুসন্ধানে মাঠে নামে বিজয় টিভি। আবদুল কাদিরের বাড়িতে প্রতারক আবদুল কাদিরকে খুজে না পাওয়া গেলে সন্ধান পাওয়া যায় কাদিরের পিতা শামসুদ্দিনকে। যার নামে শামসুদ্দিন কাদির ফাউন্ডেশন রয়েছে তিনি বানিয়াগ্রাম তেবাঘা বাজারের একজন চা-বিক্রেতা।
এদিকে প্রতারক আবদুল কাদিরের দালাল চক্রের দুই সদস্য আলম ও কাঞ্চনের মাধ্যমে জানা যায়, প্রতারক আবদুল কাদির এলাকার মানুষদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে এলাকাবাসীকে টিউবয়েল ও সেলাই মেশিন না দিতে পেরে বিপাকে পড়েছে দালাল আলম ও কাঞ্চন। লাপাত্তা রয়েছে প্রতারক আবদুল কাদির।
দালাল চক্রের সদস্য আলম-কাঞ্চন ও স্থানীয় শতাধিক মহিলা একত্রিত হয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের মেম্বার হাবিবুর রহমান এর কাছে আবদুল কাদিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গেলে আবদুল কাদিরের সাথে কথা বললে কাদির এগুলো অস্বীকার করে ।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি