হজ পালন করতে গিয়ে নাগরিকদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া থেকে প্রতিবছরই বহু মানুষ হজ করতে সৌদি আরবে যান। এবছর মালয়েশিয়ার আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষের হজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিমের দেশ ইন্দোনেশিয়া আগেই জানিয়েছে তারা এবছর তাদের নাগরিকদের হজ করতে যাওয়ার অনুমতি দেবে না।
প্রতিবছর সারাবিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করতে সৌদি আরব যান।
তবে কয়েকদিন আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক খবরে প্রকাশিত হয় যে, প্রত্যেক দেশ থেকে যে পরিমাণ হজযাত্রী যাওয়ার কথা অন্যান্য বারের তুলনায় এবার তার ২০ শতাংশ মানুষ আসতে অনুমতি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর এক লাখের বেশি মানুষ হজে যান, কাজেই বাংলাদেশ থেকে এবার হজ পালন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরাও বাধার মুখে পড়তে পারেন।
তবে বাংলাদেশ থেকে ঠিক কী পরিমাণ মানুষ এবার হজ করতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন এবং সেটি কোন ভিত্তিতে নির্ধারন করা হবে, সেবিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে মঙ্গলবার বিবিসিকে জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরব।
মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় সব কর্মকাণ্ড বন্ধের বিরল ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব।
এর কয়েকদিন পর সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্যেও ওমরাহ হজ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।
মসজিদে নামাজ পড়া এমনকি ঈদের জামাতের উপরেও বিধিনিষেধ ছিল।
একই সময়ে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দেশটি। সেখানে বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি ছিল।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮৫৭ জন। সূত্র: বিবিসি বাংলা