রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন কবি সুফিয়া কামাল। মানবতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নারী জাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব তিনি। কবিতাকে শাণিত হাতিয়ার করে আমৃত্যু কথা বলেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
নারী জাগরণের অগ্রদূত জননী সাহসিকা কবি সুফিয়া কামাল এক দিকে ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা আর অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল তার দৃপ্ত পদচারণা।
১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুফিয়া কামাল। তখন নারীশিক্ষা ছিল দুঃসাধ্য কল্পনা। মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। ১৯২৬ সালে সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’।
কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বেগম পত্রিকার প্রথম সম্পাদক। সব সামলিয়েও লিখে গেছেন কবিতা, গল্প ও ভ্রমণ কাহিনী। ‘সাঁঝের মায়া’, ‘কেয়ার কাটা’, ‘অভিযাত্রিক’, ‘মায়া কাজল’, ‘একাত্তরের ডায়েরি’ ও ‘উদাত্ত পৃথিবী’ তারই উল্লেখযোগ্য গ্রন্থমালা।
শিশু সংগঠন কচি-কাঁচার মেলারও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সুফিয়া কামাল। এছাড়া মহিলা পরিষদ ও ছায়ানটসহ বিভিন্ন সংগঠনের সভানেত্রীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি নারীমুক্তি, মানবমুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে গেছেন মহীয়সী এই নারী।
এসবের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেয়েছেন একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ ৫০টিরও বেশি সম্মাননা। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর সাঁঝের মায়ায় জীবনাবসান হয় তার। আজ কবি সুফিয়া কামালের ১০৯তম জন্মবার্ষিকীতে বিজয় টিভির সহস্র কুর্নিশ।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি