২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার নাম প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম রয়েছে অনুদানের তালিকায়।
এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ও স্বপ্লদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। এত সিনেমা একসঙ্গে এর আগে অনুদান পায়নি।
পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছেন
মুশফিকুর রহমান গুলজার, তার সিনেমার নাম ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’, চলচ্চিত্রটি পেয়েছে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা অনুদান।
মনপুরা খ্যাত পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম তার কাজল রেখা সিনেমার জন্য পেয়েছেন অনুদান।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘যোদ্ধা’র জন্য এস এ হক অলিক, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘আশীর্বাদ’ ও ‘শ্যামা কাব্য’ চলচ্চিত্রের জন্য বদরুল আনাম সৌদ, ‘ফুটবল ৭১’ পরিচালনার জন্য অনম বিশ্বাস অনুদান পেয়েছেন।
এছাড়াও প্রদীপ ঘোষের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ আছে পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য অনুদান প্রাপ্তদের তালিকায়।
পূর্ণৈদর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখায় আরও আছে- পংকজ পালিতের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘একটি না বলা গল্প’, অনুপম কুমার বড়ুয়ার প্রযোজনা ও সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ছায়াবৃক্ষ’, রওশন আরা রোজিনার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফিরে দেখা’, এম এন ইস্পাহানীর প্রযোজনা ও ইস্পাহানী আরিফ জাহানের পরিচালনায় ‘হৃদিতা’, ফজলুল কবীর তুহিনের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘গাঙকুমারী’, ইফতেখার আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘লেখক’, আবদুল মমিন খানের প্রযোজনা ও মনজুরুল ইসলামের ‘বিলডাকিনী’ ছবিগুলো।
আমিনুল হাসান লিটুর প্রযোজনা ও আউয়াল রেজার পরিচালনায় ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ও নুরে আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ শিশুতোষ শাখায় অনুদান পেয়েছে।
‘আগন্তুক’, ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’, ‘প্রথম রূপকথার বই’, ‘মুকুলের জাদুর ঘোড়া’ (শিশুতোষ), ‘পটুয়া’, ভূবন মাঝি খ্যাত পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খানের প্রামাণ্যচিত্র ‘অবিনশ্বর’, ‘ধূসর দিগন্ত’, ‘দূরে’ ও ‘মরিয়ম’ ছবিগুলো আছে অনুদানপ্রাপ্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার তালিকায়।