ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ‘নৌকা’ প্রতীক এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্ষমতাসীনদের জোটে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা আটটি। বিরোধী জোটে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ১১ টি। আজ (বৃহস্পতিবার) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়ে প্রধান দুই দল থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জোট বদ্ধ হয়ে একই প্রতীকে নির্বাচনের বিষয়ে ইসিকে জানানোর শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সই করা চিঠিতে মোট ১৫টি দলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা আটটি। এগুলো হলো, আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্ট-ন্যাপ, তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি-জেপি। অনিবন্ধিত দলগুলো হলো, গণ আজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাসদ, কৃষক শ্রমিক পার্টি ও তৃণমূল বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা চিঠিতে জানানো হয়েছে, বিএনপি, এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, খেলাফত মজলিশ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান আজ রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এই জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে নির্বাচন করবে। নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাও এই জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।
বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ইসিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের প্রার্থীরা ‘কুলা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষ কেউ কেউ ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে লড়বে। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের সই করা চিঠিতে জানানো হয়েছে, তাদের জোটে বাংলাদেশ খেলাফত ও ইসলামী ফ্রন্ট ‘লাঙল’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাই শেষে রাজনৈতিক জোটের দলের সংখ্যা কমবেশি হতে পারে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি