নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সকালে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসকে অভিযুক্ত করে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরাও।
সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা কলেজের সামনে বেইলি রোডের সড়কে বসে পড়েন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবির মুখে ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের মূল ক্যাম্পাসের প্রভাতী শাখার প্রধান জিন্নাত আরাকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়েও তাকে শোকজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদাউস জানান, ‘যেহেতু তার (জিন্নাত আরা) বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সময় তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শান্তিনগরের নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, অরিত্রির বিরুদ্ধে ফাইনাল পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ তুলে তার বাবাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে অরিত্রির বাবাকে জানানো হয় তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল অরিত্রির সামনে তার বাবাকে অপমান করেন। এ ঘটনায় সে আত্মহত্যা করেছে। পরে সোমবার সন্ধ্যায় প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) নাজনীন ফেরদাউস ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে অরিত্রির পরিবারকে সান্তনা দিতে যান। এ সময় অরিত্রির উত্তেজিত স্বজনরা তার ওপর চড়াও হন। এ সময় তিনি টিসি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি