জামালপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পানিফল চাষ। খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণের জন্য পানিফলের চাহিদা থাকায় প্রতি বছর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজলায় চাষীরা পানিফল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় পাইকারদের হাত বদল হয়ে ফলটি বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
প্রতিবছর বোরো ধান কাটার পর, খাল-বিল-ডোবায় জমে থাকা পানিতে প্রথমে এই ফলের লতা রোপণ করা হয়। তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে ফল আসে গাছে। এ ফল চাষে সার-কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না। প্রতি বিঘা জমি চাষে তিন-চার হাজার টাকা খরচ করে ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ করেন চাষিরা।
এদিকে, এ ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে এই অঞ্চলের অনেক হতদরিদ্র মানুষ। অল্প পুঁজি ব্যয় করে পানিফল চাষের মাধ্যমে দু’পয়সা বাড়তি আয় করে অভাবের সংসারে সচ্ছলতা এনেছে অনেক পরিবার।
পরিত্যক্ত সকল পুকুর-জলাশয়ে মাছ চাষের পাশাপাশি পানিফল চাষ করলে চাষিরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হবেন, অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও তারা অবদান রাখতে সম্ভব হবে বলে জানালেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
দেওয়ানগঞ্জ সদর, চুকাইবাড়ী ও চিকাজানি ইউনিয়ন এ বছর ৬০ হেক্টর জলাশয়ে পানিফল চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ফল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।
ডেস্ক নিউজ/বিজয় টিভি