বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের বোলিংয়ে ধির গতিতে খেলতে থাকা ক্যারিবীয়রা ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান তুলতেই ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস জিতে ব্যাটিং নিলেও তাদের রণ কৌশলে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান দুই স্পিনার শুরু করেন শুরুটা। চাপে ফেলে দেওয়ার কৌশলে শুরুতে সফলতাও দেখান। অষ্টম ওভারে বাংলাদেশকে সফলতা এনে দেন সাকিব। তার বলে ঠিকমতো ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি পাওয়েল। মেরে খেলতে গিয়ে বল আউট সাইড এজ হয়ে জমা পড়ে কাভারে থাকা রুবেল হোসেনের কাছে। পাওয়েল বিদায় নেন ১০ রানে।
৯ ওভার পর পেসার দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পথে ১৬তম ওভারে ক্যাচের সহজ সুযোগ তৈরি করেছিলেন মোস্তাফিজ। ব্রাভো ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা আরিফুলের কাছে। সুবর্ণ সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
তবে তামিম ইকবাল ভুল করেননি ২১তম ওভারে। মাশরাফির বলে ড্যারেন ব্রাভো উঠিয়ে মারলে সেই ক্যাচ ডাইভ দিয়ে দর্শনীয়ভাবে লুফে নেন বাঁহাতি ওপেনার। প্রায় দুই বছর পর ফেরা ব্রাভো ফেরেন ১৯ রান করে।
বিরতি দিয়ে ২৫তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন মাশরাফি। শরীরের ভারসাম্য না রেখে বাইরের বল খেলতে গিয়ে শাই হোপ ধরা পড়েন মিরাজের হাতে। ধীর স্থির খেলা এই ওপেনার বিদায় নেন ৪৩ রান করে।
এরপর হেটমায়ার নামলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন ১১ রানে।
ক্যাচ মিসের মহড়া আরও চলে ফিল্ডিংয়ে। ৩২তম ওভারে সাকিবের বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন রোভম্যান। ক্যাচটা লুফেও নিয়েছিলেন মিড অফে থাকা রুবেল। আচমকা হাত থেকে পড়ে যায় সেই বল।
৯৩ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেট তুলতেও খুব একটা সময় লাগেনি। ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা মাশরাফি এবার রোভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে শিকার করেন তৃতীয় উইকেট। তার বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ১৪ রানে বিদায় নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
অপরপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন স্যামুয়েলস। রুবেল হোসেনের ওভারে আর থিতু হননি। বড় শটের দিকে ঝুঁকে বসেন। তাতে ক্যাচ আউটে বিদায় নিতে হয় অভিজ্ঞ স্যামুয়েলসকে। লং অনে তার ক্যাচ নেন লিটন। স্যামুয়েলস বিদায় নেন ২৫ রানে।
মাশরাফি ও মোস্তাফিজ তিনটি করে উইকেট নেন। সাকিব, মেহেদী ও রুবেল পান একটি করে উইকেট।