দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যার জন্য নাকি পরিকল্পনা এঁটেছিলেন তাঁরই এক শিষ্য। সেই শিষ্য সম্প্রতি পাকিস্তানে খুন হয়েছেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কে তাঁকে খুন করল? ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী দাউদের অন্যতম সহযোগী ছোটা শাকিলের নির্দেশেই নাকি পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করা হয়েছে।
দাউদ ইব্রাহিমের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফারুখ দেবদিওয়ালা পাকিস্তানের করাচিতে খুন হয়েছেন। বলা হচ্ছে, ফারুককে হত্যার পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন দাউদের অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল। ফারুককে হত্যার কারণ হিসেবে ভারতের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন ফারুক। সেই খবর পেয়েই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি ফারুকের মৃত্যুর খবর সত্যি হয়ে থাকে তবে ২০০০ সালে ফিরোজ কোকানির হত্যার পর ফারুক দ্বিতীয় ব্যক্তি, যাঁকে দাউদ ইব্রাহিমের পরিকল্পনায় খুন করা হলো।
করাচির জোগেশ্বরি এলাকায় থাকতেন ফারুক। অভিযোগ আছে ফারুক ইন্ডিয়ান মুজাহিদীনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন। ভারতের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড় অনেক দিন ধরে বলে আসছে যে ফারুক ভারতে অনেক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারেন পান্ডিয়ার হত্যার পেছনে হাত আছে ফারুক দেবদিওয়ালার।
সংগৃহীতভারতের জন্ম নেওয়া ফারুক দেবদিওয়ালার নাম ছিল দেশটির মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায়। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সুযোগে ফারুককে প্রত্যর্পণের জন্য নানা চেষ্টা চালায় ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ ছিল, ইন্ডিয়ান মুজাহিদীনের হয়ে সদস্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে আসছিলেন ফারুক। কিন্তু দাউদের এই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে আড়াল করতে তৎপরতা শুরু করে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ ভুয়া নথিপত্র পেশ করে ফারুকের প্রত্যর্পণ ঠেকিয়ে দেয়। দেশটি যে পাসপোর্ট জমা দিয়েছিল, তাতে ফারুককে পাকিস্তানের নাগরিক বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
ভারতের গণমাধ্যমের খবর, ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্প্রতি বেশ সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ফারুকের। এ খবর পৌঁছে যায় ছোটা শাকিলের কাছে। ফারুকের এ বিষয়ে জানতেও চেয়েছিলেন শাকিল। সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন ফারুক। এরপরই ফারুককে আর নির্ভরযোগ্য মানতে পারেননি দাউদ–শাকিল। পরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ফারুকের মৃত্যু নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইন্টারপোল। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি