ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ করোনা ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার। এর ফলে দরিদ্র দেশগুলোকে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় তৈরি ভ্যাকসিন রোববার (৩ জানুয়ারি) কোভিশিল্ড মানবদেহে প্রয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ভারত। সেরাম ইনস্টিটিউটের ওই টিকা প্রতিবেশী দেশে অনুমোদন পাওয়ার পর আশার আলো দেখছিল বাংলাদেশ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, জানুয়ারিতেই হয়তো ভ্যাকসিন পেতে পারে ঢাকা।
তবে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রা জেনেকার ফর্মুলায় তৈরি সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার দিনেই রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত সরকার।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও আদর পুনাওয়ালার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, আপাতত আগামী কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেবে না ভারত সরকার। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেটি নিশ্চিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান সেরাম ইনস্টিটিউটের এ প্রধান কর্মকর্তা। প্রতিবেশী দেশের এমন সিদ্ধান্তে সহসায় বাংলাদেশের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন ভারত রপ্তানি না করার বিষয়ে সময় সংবাদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানকে চাওয়া হয়েছে।
দেশটিতে বর্তমানে এক কোটি ৩ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত । এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন প্রায় দেড় লাখ লোক ।
করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের ১৩০ কোটি জনগণের মধ্যে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশসহ সামনের সারির যোদ্ধারা।
এদিকে, গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।