আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের পথযাত্রা।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) প্রধান কার্যালয়ে উৎক্ষেপণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নতুন এই স্যাটেলা্ইটটির ধরণ ও প্রকৃতি ইত্যাদি নির্ধারণে পরামর্শক হিসেবে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউস কুপার্সের সাথে অনলাইনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এসময় মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক অভিযাত্রার দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে উল্লেখ করেন জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির সক্ষমতা তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ জাতীয় জীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আরো একটি নতুন যুগে পদার্পন করেছে।
এর ওপর ভর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আরো বেগবান ও অর্থবহ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২-এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর ওপর নির্ভর করে আমরা চর ও দ্বীপসহ দুর্গম অঞ্চলের ডিজিটাল কানেকটিভিটি তৈরি করছি। আমরা বেতার ও টিভি চ্যানেলসমূহের সম্প্রচার অব্যাহত রাখছি। দেশের দুর্গম এলাকায় টেলিমেডিসিন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’
বিজয় বাংলা সফটওয়্যার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিক নির্দেশনায় নিবিড় পর্যালোচনা করে দেখেছি একটি স্যাটেলাইট দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ছাড়া আর কোনো প্রয়োজন মেটে না। ভবিষ্যতের বাড়তি চাহিদা মেটানোার কথাও ভাবতে হবে। স্যাটেলাইটে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার বাইরে উপগ্রহের মাধ্যমে যাতে আমরা নতুন সেবা দিতে পারি। আমরা এরই মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের কার্যক্রম শুরু করেছি। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সেটিও আমাদের ওপর অর্পিত একটি বড় কাজ।’