মিশ্র পদ্ধতিতে খামার তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের কৃষক রুমান আলী শাহ। কর্মসংস্থানের সন্ধান না পাওয়ায় নিজের জমিতেই ৫-৬ বছরে তিলে তিলে গড়ে তোলেন ‘মিশ্র বহুমুখী খামার বাড়ি’। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এখন উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এমন খামার তৈরিতে। এছাড়া, এ খামারেই কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। এদিকে, আর্দশ কৃষক রুমান আলীকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে সুবিধা করতে না পেরে দেশে এসে নিজের জমিতেই গড়ে তোলেন ‘মিশ্র বহুমুখী খামার বাড়ি’। কুলিয়ারচর উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের কৃষক রুমান আলী শাহ’র এক একর ১৪ শতাংশ জায়গায় গড়ে তোলা এ ব্যতিক্রমী মিশ্র খামার বাড়িতে প্রতিটি প্রকল্প সাজানো হয়েছে ছোট-বড় শিক্ষামূলক প্ল্যাকার্ডে।
এখানে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর, মাছের খামার, নেপিয়ার ঘাস, পেয়ারা বাগান, জৈব সার তৈরির প্রক্রিয়াসহ ১১টি প্রজেক্ট গড়ে তুলেছেন তিনি। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এখন উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এমন খামার তৈরিতে।
এদিকে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে গত কয়েক বছর পরিকল্পনা শেষে লালশাক আর পালংশাক দিয়ে তার জমিতে অঙ্কন করেছেন বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও নৌকা প্রতীক। প্রায় প্রতিদিনই এসব দেখতে এবং খামার বিষয়ে পরামর্শ নিতে খামারটিতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
এ খামার বাড়িটি নিয়ে আরও দীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান, কৃষক রুমান আলী শাহ।
এদিকে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানালেন, আর্দশ কৃষক রুমান আলী শাহকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
শূন্য থেকে শুরু করে রুমান আলী শাহ এখন বেকার তরুণ-তরুণীদের জন্য আর্দশ কৃষকের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদের অনুপ্রাণিত করার জন্য খামারেই তিনি গড়ে তুলেছেন কৃষি ক্লাব। যেখানে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ একেবারে ন্যায্যমূল্যে যে কেউ সংগ্রহ করতে পরে সার, বীজ, মেডিসিন, কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি।