দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বন্ধ ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের তাঁতপল্লীগুলো। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ে এ খাতের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার পরিবার। অবশেষে গত ১১ জানুয়ারি থেকে পুনরায় চালু হয়েছে জেলার তাঁতপল্লীগুলো। ফলে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির এ খাতে পুনরায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
দিনভর তাতের খটখট আওয়াজে মুখর, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিনগর তাঁতপল্লী। সুতোয় বেনারশী, কাতান, মসলিন সিল্ক ও থ্রি-পিস বুনছেন তাঁতিরা। এ পল্লীর প্রায় দুইশ পরিবার এ তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাঁতপল্লী বন্ধ থাকায়, কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন এর সাথে জড়িতরা। উৎপাদন বন্ধ ও কাজ না থাকায় পরিবার চালাতে ব্যাপক হিমশিম খেতে হয় তাদের। তবে, এখন কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে আছেন তারা।
এদিকে, গত মাসে তাঁতপল্লী পরিদর্শনে আসেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। এ সময় তাঁতিরা বিনাসুদে ঋণের দাবি করলে মন্ত্রী ৪ শতাংশ হারে ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। এটি বাস্তবায়ন হলে করোনাকালীন সময়ের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া সম্ভব বলে জানান, মৌসুমী সিল্ক সেন্টারের এ স্বত্বাধিকারী।
অন্যদিকে, করোনায় তাঁতশিল্প সংশ্লিষ্টদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ও রেশম বোর্ড বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানালেন এ কর্মকর্তা।
জেলায় প্রায় ২ হাজার তাঁতশিল্প রয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন ১০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী। করোনাকালীন সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, তাঁতশিল্পের উন্নয়নে সরকার খুব দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।