একক ও মিশ্র ফল বাগানের মধ্যে লেটুস ও ব্রোকলি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন রাজবাড়ী সদরের কৃষকরা। উচ্চমূল্য, সহজ আবাদ, রোগবালাই কম হওয়া এবং সারাবছর এই সবজি দুটির চাহিদা থাকায় কৃষকরা দিন দিন লেটুস ও ব্রোকলি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এদিকে, কৃষকদের সহযোগিতা করতে তাদের নানা পরামর্শ দিয়ে চলেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
রাজবাড়ী জেলা সদরের অনেক চাষিই এখন অন্যান্য ফলের পাশাপাশি লেটুস এবং ব্রোকলি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১০-১৫ শতাংশ জমি থেকে পঁচিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার ব্রোকলি এবং দুই শতাংশ জমি থেকে দশ হাজার টাকার লেটুস বিক্রি হয় বলে জানান এ অঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, বারি লেটুস-১ ও বারি ব্রোকলির-১ চারা রোপণ ও সার দিয়ে সামান্য টাকা খরচ হয় তাদের। এরপর সামান্য পরিচর্যা ছাড়া আর বাড়তি কোনো সার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। এতে লাভের পরিমাণই বেশি থাকে কৃষকদের।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ফরিদপুর কার্যালয়ের এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত রাজবাড়ীর কৃষকদের এ ধরণের চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন।
চাষের এ পদ্ধতি কার্যকর হলে জমি আরও বেশি কার্যকর ব্যবহার হবে এবং জেলায় ফল উৎপাদনের পাশাপাশি এ ধরনের সবজির উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।