কুমিল্লা ইপিজেড দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। করোনাকালিন সময়ে উৎপাদন ও আমদানি-রফতানিতে পিছিয়ে ছিলো না কুমিল্লাসহ দেশে ৮টি ইপিজেড। এ সময় ইপিজেডগুলোতে প্রায় ২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। করোনা মহামারিতেও বিশ্বে অন্যতম ছিল বাংলাদেশের ইপিজেডগুলোতে উৎপাদিত ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম পিপিই। এতে বর্তমানে বিশ্বে এই খাতের বড় রফতানিকারক দেশই হচ্ছে বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ইপিজেডের বেপজা সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিনতে আলমগীর এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, কুমিল্লা ইপিজেড দেশের চতুর্থ বৃহত্তম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা। এখানে এই পর্যন্ত চীন, তাইওয়ান, হংকং, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, জাপান, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, শ্রীলংঙ্কা, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডা, ইন্দোনেশিয়ার বিনিেিয়াগকারীরা বিনিয়োগ করছে। এই ইপিজেডে বিনিয়োগ এসেছে এই পর্যন্ত ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সমমূল্যের পণ্যসামগ্রী।
কুমিল্লা ইপজেডে উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, স্যুয়েটার, ফেব্রিক্স, টেক্সটাইল ডাইজ এন্ড অক্সিলিয়ারিস, ইলেকট্ররিক্স পার্টস, এলিমেনেটিং ব্রাশ, ফুটওয়্যার ও ফুটওয়্যার আপারস, ক্যামেরা কেইস, ব্যাগ, ইয়ার্ণ, প্লাস্টিক পণ্য, হেয়ার ও ফ্যাশন এক্সেসরিজ, মেডিসিন বক্স, আই প্যাচ, কার্পেট, গ্লোভস, লাগেজ, মেডেল, পেপার প্রোডাক্ট নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিনতে আলমগীর আরও জানান, কুমিল্লা ইপিজেডে বর্তমানে দেশি-বিদেশি মোট ৪৭টি কারখানা চালু রয়েছে। এই কারখানাগুলোর তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারের বর্জ্য পরিশোধন করে। যার ফলে পরিবেশ, নদী-নালা, কৃষি জমি তথা জীব ও বৈচিত্রের কোনরূপ ক্ষতি সাধন হয় না। এই ইপিজেডের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধানাগারের পানি পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্ধারিত মান ও মাত্রা বজায় রেখে নিঃরশ্বিত করা হচ্ছে।
এসময় কুমিল্লা ইপিজেডের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান ও কর্মকর্তা আশিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।