দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকলে গত ৭২ দিনে ৮৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ২৭০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। চিনি আহরণের শতকরা হার হচ্ছে ৫ দশমিক ১৪ ভাগ।
চিনিকল সূত্র জানায়, জয়পুরহাট, রংপুর ও শ্যামপুর চিনিকল এলাকার আখ নিয়ে এবার জয়পুরহাট চিনিকলের ২০২০-২০২১ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয় ১৮ ডিসেম্বর। ১ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১০ হাজার ৬৯২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চলতি মাড়াই মৌসুমের ২ মার্চ পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ২৭০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট চিনিকল এলাকার ৩৭ হাজার ৫৮৭ দশমিক ৭৭ মেট্রিক টন আখ, রংপুর চিনিকল এলাকার ২৫ হাজার ৬৭১ মেট্রিক টন ও শ্যামপুর চিনিকল এলাকার ২১ হাজার ৫৪১ দশমিক ২৩ মেট্রিক টন আখ। আখের অভাবে চিনিকল গুলোতে অব্যাহত লোকসান কমাতে উত্তরাঞ্চলের তিনটি চিনিকল এলাকার আখ জয়পুরহাট চিনিকলে মাড়াই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। এরমধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট এলাকার ৬০ হাজার মেট্রিক টন আখ , শ্যামপুর চিনিকলের ৫০ হাজার ও রংপুরের মহিমাগঞ্জ চিনিকলের ৫২ হাজার মেট্রিক টন আখ। ২ মার্চ পর্যন্ত জয়পুরহাট চিনিকল এলাকার ৩৭ হাজার ৫৮৭ দশমিক ৭৭ মেট্রিক টন আখ, রংপুর চিনিকল এলাকার ২৫ হাজার ৬৭১ মেট্রিক টন ও শ্যামপুর চিনিকল এলাকার ২১ হাজার ৫৪১ দশমিক ২৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান, জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো: আবু বকর।
চলতি ২০২০-২১ আখ মাড়াই মৌসুমে তিনটি মিলের ১ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১০ হাজার ৬৯২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আগামী ১০ মার্চ জয়পুরহাট চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম শেষ করার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।