কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি চালু না হওয়ায় এখনো পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব হয়নি দেশের চামড়া শিল্প। এতে ইউরোপ-আমেরিকায় সরাসরি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার ওপর করোনা মহামারি, নতুন করে লকডাউনে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আগামী কোরবানির ঈদের পশুর চামড়া নিয়েও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে দেশের আয় হয়েছিল ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। ক্রেতা-চাহিদা অনুযায়ী সিইটিপি চালু এবং কর্মপরিবেশ নিশ্চিত না হওয়ায় উন্নত বিশ্বে চামড়া ও চমড়াজাত পণ্যের সরাসরি রপ্তানির সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। এতে সংকটে পড়ে সম্ভাবনাময় এ খাত।
ছয় বছর পরে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় শূণ্য দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবারের মতো আসছে কোরবানি ঈদেও কাঁচা চামড়ার বড় জোগান তৈরি হবে। যা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে বাড়তি উদ্বেগে পড়েছেন শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীরা।