ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। তাণ্ডবের প্রথম দিনই ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। এ ঘটনার পর ২৭ মার্চ থেকে পূর্বাঞ্চল রুটে চলাচলকারী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সিগন্যাল বোর্ড ও রেললাইনের মোটর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। লেভেল ক্রসিং গেটের লকিং সিস্টেমও সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে তাণ্ডবকারীরা। এতে করে স্টেশনে ট্রেন যাত্রাবিরতি করতে পারছে না।
এদিকে, স্টেশনে কোনো ট্রেন না থামায় বিপাকে পড়েছেন, এ রুটে চলাচলকারীরা। মানববন্ধন আর সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে দ্রুত স্টেশনটি পুনঃসংস্কার করে ট্রেন থামানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শোয়েব আহমেদ জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি স্থগিত রাখা হয়েছে। মেইল ট্রেনের ব্যাপারেও কোনো নির্দেশনা নেই।
আর, জেলাবাসীকে শাস্তি না দিয়ে কতিপয় দুষ্কৃতকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক কমিটি’র সহ-সভাপতি আবদুর নূর ।
এই রুটের যাত্রা বিরতি বাতিল করায় পার্শ্ববর্তী আখাউড়া, পাগাচং, তালশহর, আশুগঞ্জ, ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এই রেলরুটে চলাচলকারীদের।