সুনামগঞ্জের উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি ৬টি পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটিতেই বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ দফার বন্যায় সদর উপজেলার কোরবান নগর ইউনিয়নের সুরমা নদীর পানি চাপে খাইমতর ধারাগাঁও সড়কে পাঁচ কিলোমিটার অংশের ৯টি স্থানে ভেঙে পানি ঢুকছে। এতে সদর উপজেলার রংগারচর সুরমা কোরবাননগর ইউনিয়নের ৪০ গ্রামের মানুষ চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা আনোয়ারপুর দুর্গাপুর অংশ উজানের ঢলে নিমজ্জিত হয়ে পাঁচ দিন ধরে তাহিরপুর উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার সড়ক, ৫০টি সেতু কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৩ হেক্টর আউশ ধানের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ১০ হাজার পুকুরের মাছের পোণা পানিতে ভেসে গেছে।
তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা তিন লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। নদীর পানি দ্রুত কমলেও হাওরের পানি কমছে ধীর গতিতে। তাই মানুষ এখনও সীমাহীন দুর্ভোগে আছেন।