বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বিগ ব্রাদারসুলভ আচরণ করছে ভারত।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, পতিত স্বৈরাচার বসে নেই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রতিবেশী দেশের একটা স্টেটমেন্ট দেখছেন, তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, শেখ হাসিনা ভারতে আছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রত্যার্পন চুক্তি আছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তার বিষয়টি চলে আসতে পারে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া মানে খুনি ও সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া।
তিনি বলেন, ভারতীয় হাইকমিশন থেকে যে বক্তব্য ফুটে উঠেছে সেটি বিগ ব্রাদারসুলভ। সেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা এখনো স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত হতে পারছি না। গতকাল হঠাৎ করে ৫০ থেকে ৬০টি জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছে। এরা কারা, আমরা কিন্তু প্রায় দিনই বলেছি স্বৈরাচারের দোসররা ভেতরে আছে, এরা কিন্তু নাশকতা করবে। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সংস্থাটি গঠন করেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। গ্রামে-গঞ্জে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, কৃষি উৎপাদনের জন্য এক মহৎ উদ্যোগ নিয়ে গোটা জাতিকে আলোকিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। যেহেতু এটি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছেন তাই এটি ধ্বংস করার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি মহত উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) প্রতিষ্ঠা করেছেন তারেক রহমান। দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা ঝড় জলোচ্ছ্বাসে সংগঠনটি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদী আমলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখনই মানুষ বিপদে পড়ে তখনই জেডআরএফ ছুটে গেছে। সম্প্রতি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সংগঠনের নেতারা ছুটে যান। সারাদেশে এক হিংস্র আক্রমণে যেসব মানুষ হাত-পা কিংবা চোখ হারিয়েছেন তাদের কৃত্রিম হাত, পা সংযোজন করেছে জেডআরএফ। তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে মানবসেবা করে যাচ্ছে এই ফাউন্ডেশন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জেডআরএফ’র ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অর্থাৎ রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জিয়ার মাজার জিয়ারত করেন নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, জেডআরএফের শামীমুর রহমান শামীম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. এ কে এম মাসুদ আখতার জীতু, বিএনপির আমিনুল ইসলাম, যুবদলের মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।