সীমান্তবর্তী পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করার কথা জানিয়েছে বিজিবি। শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্তবর্তী পূজা মণ্ডপে ১৬ স্তরের নিরাপত্তায় থাকবে বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে বিজিবির ভোমরা ক্যাম্পে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক।
তিনি বলেন, ২ অক্টোবর থেকে বিজিবি টহল দলকে দুটি টাস্কফোর্সে বিভক্ত করে পূজা মণ্ডপ ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার মধ্যে ৪০টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে, বিজিবি ১৬ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে এবং দুই শতাধিক সদস্য এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের দায়ে দুর্নীতি/অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী পেশাজীবীসহ ২৮ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল ও স্ট্যাটিক টহল পরিচালনাসহ গোয়েন্দা নজরদারি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবির এ ধরনের কার্যক্রমের ফলে ইতিমধ্যে সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা এবং জনমনে ব্যাপক আস্থার সঞ্চার এবং পূজা উদযাপনে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, এ সময় পূজা উদযাপন উপলক্ষে যেকোনও আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে, তাদের কোনও পরিচয় বিবেচনা করা হবে না।
এদিকে, সাতক্ষীরা শ্যামনগরে নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার ৮ কিলোমিটারের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা ১৫টি, কালীগঞ্জ ১৬টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ৮টিসহ সর্বমোট ৩৯টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে। উক্ত এলাকায় কর্তব্যরত বিজিবি টহল দলকে দুটি টাস্কফোর্সে বিভক্ত করে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য দিয়ে আটটি সেকশনে ভাগ করে পূজা মণ্ডপসমূহ ও এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনমনে আস্থা বৃদ্ধিতে টহল পরিচালনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।