কোটা আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় আহত ও নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রেখে পুনরায় এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং শিক্ষা ও শিশু রক্ষার আন্দোলন (শিশির)।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানায়। মানববন্ধনে শিক্ষক-অভিভাবকসহ নানা শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অভিভাবকরা বলেন, সচিবালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর আন্দোলন সাপেক্ষে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তটি সমীচীন নয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে মেধার যোগ্য মূল্যায়ন হবে না। তা ছাড়া অটো পাসের মাধ্যমে যে ক্ষতিটা হচ্ছে, সেটার বোঝা শিক্ষার্থীদের আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার হবে। তাই শিক্ষা উপদেষ্টার উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবুন। প্রয়োজনে পরীক্ষা আরও পেছান। আহতদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করুন। তবু পরীক্ষাটা বাতিল করবেন না।
আড়ও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যার পানিতে ভাসছে ১২ জেলা, নিহত ৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আজম খান বলেন, আমরা এমন একটা সময় দাঁড়িয়েছি, যেখানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বেশামাল। সদ্য সাবেক সরকার যেসব খাতকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তার মধ্যে শিক্ষা খাত অন্যতম। যেমন প্রশ্নপত্র ফাঁস, পরীক্ষার পাসের সুপারিশ ইত্যাদি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আসা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা কোনও স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে পরামর্শ না করে পরীক্ষা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটাও একটা ভুল সিদ্ধান্ত।
কয়েকজন শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে গিয়ে দাবি করলো আর চার ঘণ্টার মাথায় এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। বর্তমান ও ভবিষতের কথা চিন্তা করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।