টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সব আয়োজন গুছিয়ে আনা হয়েছে। রোববারের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লিতে পৌঁছে গেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিসহ অনুষ্ঠানে ৭ বিদেশি নেতা যোগ দেবেন। আর সব মিলিয়ে এই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা হবে আট হাজার।
হিন্দুস্তান টাইমস সহ ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতকর্তা। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রোববার সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন।
মোদীর শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থল রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঁচ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ছাড়াও এনএসজি কমান্ডো, ড্রোন এবং স্নাইপার নিয়ে বহুস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলার সময় যেকোনো অপরাধমূলক বা সন্ত্রাসী হুমকি রোধ করতে দিল্লিতে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ ৯ ও ১০ জুন কার্যকর থাকবে।
বিদেশি অতিথিদের হোটেলে বিশেষ প্রোটোকলসহ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় রয়েছে লীলা, তাজ, আইটিসি মৌর্য, ক্ল্যারিজেস এবং ওবেরয়ের মতো নামি হোটেলগুলো। অতিথিরা হোটেল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন নির্দিষ্ট পথে। এ সময় বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ এবং ডাইভারশন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া সীমান্তেও শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি।
রোববার মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতির’ অংশ হিসেবে মালদ্বীপ ছাড়াও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের নেতারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় ২৭-৩০ জন সদস্য থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ হবেন এনডিএ জোটের সদস্য। সঙ্গে কয়েকজন প্রতিমন্ত্রীও থাকতে পারেন।
অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন ১৫ জুন নাগাদ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দু’দিন যাবে নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণে। এরপরে নতুন স্পিকার নির্বাচন করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি লোকসভা ও রাজ্যসভার একটি যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন, অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। প্রথম আগামী ২২ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।