ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলছে। দেশটির নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে সাঈদ জালিলি এবং মাসুদ পেজেসকিয়ানের মধ্যে। এখন পর্যন্ত গণনা করা ভোটের মধ্যে দুজনের ব্যবধান খুবই সামান্য। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র মোহসেন এসলামি আজ শনিবার জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৫৮ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৩৮টি কেন্দ্রের ভোট গণনা করা হয়েছে। যেখানে সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৬ ভোট এবং মাসুদ পেজেসকিয়ান পেয়েছেন ৪২ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৫ ভোট।
সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেসকিয়ান ছাড়াও এই নির্বাচনে লড়ছেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ ও দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পোরমোহাম্মাদি। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা এই দুই প্রার্থী যথাক্রমে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৩ ভোট ও ৮০ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের বর্তমান ফলাফল বলছে, সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেসকিয়ানের মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুব কম থাকায় কোনো প্রার্থীই হয়তো ৫১ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন গড়াতে পারে রানঅফ তথা দ্বিতীয় ধাপে। এই বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র মোহসেন এসলামি জানিয়েছেন, এমনটা হলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই রানঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে চূড়ান্ত পর্যায়ে লড়বেন সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার সকালে শুরু হয় ইরানের বহুল আলোচিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। পরে ভোটগ্রহণ চলে টানা ১৬ ঘণ্টা। ইরানের স্থানীয় সময় শনিবার গভীর রাতে শেষ হয় ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিলেন ইরানের ৬ কোটি ১০ লাখ নাগরিক।
মূলত এক ভয়াবহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা যান গত ১৯ মে। তার কয়েক দিন পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। নতুন তারিখ নির্ধারিত হয় ২৮ জুন। সেই মোতাবেক গতকাল শুক্রবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।