পঞ্চগড়ে চার দিন ধরে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত সূর্যের দেখা নেই। রাতভর টিপ টিপ করে ঝরছে কুয়াশা। উত্তরের হিমশীতল বাতাসের কারণে কনকনে শীতে জবুথবু জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারদিক। যানবাহগুলো হলুদ লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। এক কথায় সকালে ও রাতে জবুথবু অবস্থা জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বের হয়নি। তবে ঘন কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা করে বের হয়েছে কিছু নিম্ন আয়ের মানুষ।
পঞ্চগড়ের হাড়িভাষা এলাকার ইজিবাইক চালক জসিম উদ্দিন জানান, তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। হাট-বাজারে লোকজন কম। এ কারণে আমাদের ইনকামও কমে গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহাবুব উল আলম জানান, শীতের কারণে হাসপাতালে শিশু এবং বয়স্ক রোগী বেড়েছে। রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান, শীত মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দরিদ্র শীতার্তদের ইতিমধ্যে দুই হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া আরও শীতবস্ত্র বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।