লিবিয়া উপকূল থেকে ১১ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে একটি উদ্ধারকারী দল। শুক্রবার (৭ জুন) উপকূলের কাছাকাছি এলাকা থেকে আরও দেড় শতাধিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে দাতব্য গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
এমএসএফ বলেছে, তাদের জিও বেরেন্টস অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী জাহাজ দুটি অভিযানে ১৪৬ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। পরে আরেকটি পৃথক নৌকায় আরও ২০ জনকে পায় তারা। এছাড়া, উদ্ধারকাজে নিয়োজিত একটি বিমানের সাহায্যে সমুদ্রে আরও ১১ জনের মরদেহ উদ্ধারে করে তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে এমএসএফ বলেছে, ‘এই ট্র্যাজেডির সুনির্দিষ্ট কারণ আমরা জানি না। তবে আমরা এটি জানি, মানুষ নিরাপত্তার জন্য মরিয়া হয়ে মারা যাচ্ছে। এর অবসান হওয়া উচিত।’
সী ওয়াচ গ্রুপের একটি বিমান ওই মরদেহগুলো দেখেছিল। মৃতদের উদ্ধার করার জন্য লিবিয়ার উপকূলরক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারা। একটি বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘ভূমধ্যসাগরে এটি ঘটে। এমনকি কেউ যদি তা না-ও দেখে ’
অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সমুদ্র পথ ভূমধ্যসাগর। ২০১৪ সাল থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরে ২০ হাজারটিরও বেশি মৃত্যু এবং নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।