মার্চ মাসজুড়েই দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২ মার্চ) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মার্চ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে এবং বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়/নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে ১ থেকে ২টি মৃদু মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই মাসেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, দেশে ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা/মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখি ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মার্চ মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
এদিকে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার সতর্কতা দিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
বিডব্লিউওটি জানায়, আগামী ৬ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দেশের আবহাওয়া অনেকটা অত্যধিক চরমভাবাপন্ন থাকতে পারে। বর্তমানেও আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন আছে। চরমভাবাপন্ন বলতে দিন ও রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান অনেক বেশি হওয়াকে বোঝায়। মানে দিনে গরম আর রাতে শীত।
সংস্থাটি জানায়, আগামী ৬ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা ও দেশের আরও কিছু এলাকার আবহাওয়া বেশি চরমভাবাপন্ন হতে পারে। এই সময় এসব এলাকার তাপমাত্রা দিনে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। অপরদিকে রাতে ও ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে নেমে যেতে পারে। মানে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ভেতরে চরম ব্যবধান। এই ধরনের আবহাওয়াতে দুর্বল মানুষেরা জ্বর, সর্দি, কাশি, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
এছাড়া, আগামী ১৪ মার্চ থেকে বছরের প্রথম মৃদু তাপপ্রবাহ আসছে বলেও জানায় সংস্থাটি।