দুর্গাপূজার ছুটির সময় কক্সবাজার রুটে ট্রেনের চাহিদা বাড়ার সম্ভবনা থাকে। যাত্রীদের দুর্ভগ কমাতে নিয়মিত দুই জোড়া ট্রেনের পাশাপাশি ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত ৭টি বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের তথ্যমতে, সাপ্তাহিক ছুটির পর দুর্গাপূজার ছুটির কারণে টানা তিনদিনের বন্ধ পাচ্ছেন কর্মজীবীরা। বর্ষার শেষ সময় ও শীতের আগমনের আগে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটন বেশি থাকে। টানা তিনদিনের ছুটির কারণে ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে কক্সবাজারের রাতের ট্রেনটিতে টিকিটের জন্য রেল ভবনসহ রেলের প্রধান কার্যালয়গুলোতে চাহিদাপত্র, আবেদন জমা দিচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসটি চালু করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- জাহাজে আগুনের পর সমুদ্রে লাফ, এক নাবিকের মৃত্যু
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকা থেকে রাতের বেলার ট্রেনটিতে ৭টি এসি বার্থ, ১টি প্রথম শ্রেণীর বার্থ, ৪টি এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা), ২টি শোভন চেয়ার এবং ২টি গার্ড ব্রেক, পাওয়ার কার ও খাওয়ার গাড়ির শোভন চেয়ার কোচ থাকবে। এজন্য রাতের ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা মাত্র ৫১৮টি। তবে দিনের বেলা কক্সবাজার থেকে যাত্রী পরিবহনের সময় বার্থ কোচগুলোতে বসে যাতায়াতের সুযোগ থাকায় আসন সংখ্যা বেড়ে হবে ৬৩৪টি। ট্রেনটি ১০ অক্টোবর রাত ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে পরদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছবে। ১৩ তারিখ পর্যন্ত ট্রেনটি কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহণ করবে। এরপর ১১ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনদিনের টানা ছুটির কারণে যাত্রী চাহিদার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চারদিনে মোট সাতটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরত্ব বেশি হওয়ায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে যাত্রীরা ট্রেনের নিরাপদ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে।