বাংলাদেশে বন্যার্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য ব্র্যাককে ১০ কোটি টাকা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ৭ কোটি এবং কানাডা দিচ্ছে ৩ কোটি টাকা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) ব্র্যাকের এইচসিএমপি অ্যান্ড এক্সটারনাল কমিউনিকেশন্স থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাকের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ অ্যারেঞ্জমেন্ট (এসপিএ) বা কৌশলগত অংশীদারত্ব ব্যবস্থার আওতায় এই অর্থ দেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্যাকবলিত ১১ হাজার পরিবার এই তহবিল থেকে সহায়তা পাবে। অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার সঙ্গে যৌথভাবে এই তহবিল থেকে ব্র্যাক বন্যাদুর্গতদেরকে নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ল্যাট্রিন, নিরাপদ পানির উৎস এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো মেরামতে সহায়তা করবে। এছাড়া জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি, জীবিকা পুনরুদ্ধার, বাড়িঘর মেরামত, কৃষি উপকরণ এবং পশুখাদ্যসহ কৃষি উপকরণ কেনায় সহায়তা করা হবে।
এতে বলা হয়, ব্র্যাক ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার পরিবারকে খাদ্য, নিরাপদ পানি এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। দুর্গতদের সহায়তায় ব্র্যাকের প্রায় ৫ হাজার কর্মী মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত এবং দুর্গম এলাকাগুলোতে নৌকা, ট্রাক্টর বা কখনও পায়ে হেঁটে ব্র্যাককর্মীরা এমন মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন, যেখানে ইতিপূর্বে কোনো ধরনের সহায়তা পৌঁছেনি অথচ সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা পাওয়া প্রয়োজন ছিল।
এতে আরও বলা হয়, বন্যায় আক্রান্ত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনসহ জরুরি সহায়তায় ব্র্যাক ইতিমধ্যেই নিজস্ব তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এসপিএ তহবিলের এই ১০ কোটি টাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদাগুলো পূরণের জন্য ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও কমিউনিটি অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল বেসরকারি সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে ব্র্যাক।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কাজে বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগিদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই দুর্যোগের শুরু থেকেই মাঠে আছে ব্র্যাক। অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগটি দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে এবং বাংলাদেশের বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় ব্র্যাক এবং এর অংশীদারদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যাক্ত করে।