একের পর এক ইতিহাস গড়ছে ভারতের কলকাতার মেট্রো পরিষেবা। কিছুদিন আগেই শহরটিতে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চলাচল চালু হলো। ফলে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যকার যোগাযোগ হয়ে উঠেছে আরও সহজ। এবার সেখানে চালু হলো অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন বা চালকবিহীন মেট্রো পরিষেবা। সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে চালকবিহীন মেট্টো। এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদা থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে যাত্রার মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়।
বর্তমানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদা-সেক্টর ফাইভ রুটে ২০ মিনিটের ব্যবধানেই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এটি পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে সময়ের ব্যবধান দুই থেকে তিন মিনিটের মতো কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই পরিষেবা শহরটিতে একেবারেই নতুন। তাই শুরুর দিকে মেট্রোতে চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে মেট্রোতে চালক থাকলেও এটি পরিচালনায় তাদের প্রায় কোনও ভূমিকাই থাকছে না। এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেছেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রো রেক চালানো গেলেও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথা রেখে প্রথমদিকে কেবিনে চালক উপস্থিত থাকবেন।
তিনি বলছিলেন, কলকাতার যাত্রীদের কাছে এটি একেবারেই নতুন বিষয়। তাই চালকবিহীন মেট্রো রেক নিয়ে যাত্রীদের মনে অনেকটা উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। এ জন্য শুরুর দিকে কেবিনে চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।
কেবিনে চালকদের ভূমিকার বিষয়ে উদয় কুমার রেড্ডি জানান, বাস্তবিকভাবে সেখানে তাদের কোনও প্রকার ভূমিকাই থাকবে না। যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করলেই পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
চালকবিহীনে এই মেট্রো পরিচালনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে করে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রোর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফলে যাত্রী বোঝাই মেট্রোটি চালকবিহীনভাবেই যাতায়াত করতে পারবে।
গত কয়েক মাস ধরেই এই রুটে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে রেক চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এতে সফলতা পাওয়ার পরই এই পরিষেবা উদ্বোধন করা হয়েছে।