চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিতে বিদ্যমান উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে অর্ধেক অর্থাৎ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
খাতটির প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা বাড়াতে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা বলবত থাকবে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংক্রান্ত স্ট্যাচুটরি রেগুলেটরি অর্ডার (এসআরও) বা সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ করে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, যেকোনো রপ্তানিকারক কর্তৃক কেবল চামড়া বা চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে গৃহীত অর্থ থেকে ওই আইনের ধারা ১২৩ এর অধীন প্রদেয় উৎসে কর কর্তনের হার হ্রাস করিয়া মোট রপ্তানি আয়ের ০.৫ শতাংশ (শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ) ধার্য করিল। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হইবে এবং ৩০ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।’
বাংলাদেশে বর্তমানে চামড়াসহ সব রপ্তানি পণ্যের ওপর ১ শতাংশ উৎসে কর ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে সরকার রপ্তানি পণ্যের নগদ প্রণোদনা কমিয়ে দেয়। এর মধ্যে চামড়া খাতের প্রণোদনা পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এখন কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ কম। আলোচ্য অর্থবছরে ১ শতাংশ হিসেবে ওই রপ্তানির ওপর কর আদায় হয়েছে ১৩০ কোটি টাকার বেশি।
তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৭১৩ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম। এই রপ্তানি থেকে কর আদায় হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার ওপরে।