আগামী সংসদ নির্বাচনে এককভাবে নাকি জোটবদ্ধ হিসেবে অংশ নেবে, এখনও সে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। তবে নির্বাচনে জয়ী হলে যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলো নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বললেন, আমরা এবং আমাদের সমমনা দল কিন্তু এখনও কোনও দলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্য স্থাপন করিনি। ঐক্য হবে কি না এটা আমি বলতে পারবো না। যদি হয়, আমরা স্বাগত জানাবো। আর যদি না হয়, আমরা এককভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হলে সেখানে থাকার সুযোগ নেই ভোটের মাঠে একসময়ের সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর। তবে, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সাথে আলাদা জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। তাই নিজেরাও যোগাযোগ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন ইসলামী দলের সঙ্গে। জামায়াতের তরফ থেকেও ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে আলাদা জোট গঠনের চেষ্টা চলছে।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানালেন, নির্বাচনে জয়ী হলে সরকারে সুযোগ পাবে কেবল দীর্ঘদিনের যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র দলগুলো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐক্যমতের জাতীয় সরকারের কথা আমরা বলেছি। যাদের সাথে আমাদের যুগপৎ আন্দোলন, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের নিয়েই হবে জাতীয় সরকার। জামায়াত তো আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে ছিল না। সুতরাং এটা পরিষ্কার।
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলন করছে তারা তো এখনও আমাদের সাথে কাজ করছে। আমরা তো একটা জাতীয় সরকারের ঘোষণাও দিয়েছি নির্বাচনের পরে। এবং জাতীয় সরকারের মাধ্যমে আমাদের ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছি।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ধরনের মিত্রতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র যারা ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা এখন পুনরুদ্ধারে নামবে এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কথা? তাদের সিস্টেমেই তো গণতন্ত্র নাই। তারা তো অভ্যস্ত হয়ে গেছে গণতন্ত্র ছাড়া ক্ষমতা দখলের মধ্যে। তাদের সেই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন না? আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের বোঝাপড়ার কোনও কারণ নেই তো। যাদের পতনের জন্য এত যুদ্ধ করলাম, তাদেরকে পুনর্বাসনের তো কোনও সুযোগ নেই।
ছাত্রদের নতুন দল গঠিত হলে, তাদের সঙ্গে কোনো নির্বাচনী ঐক্য হবে কি না— বিএনপির সামনে এসেছে নতুন এই রাজনৈতিক সমীকরণও।