কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে শেষ সময়ে পালিত পশুর যত্নাত্তিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌলভীবাজারের খামারিরা। দানাদার খাবারের পাশাপাশি পশুকে খাওয়ানো হচ্ছে সবুজ ঘাস।
কিন্তু, শেষ সময়ে এসে পশু বিক্রি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা। তাদের আশঙ্কা, লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকসানের প্রভাব পড়তে পারে কোরবানির পশুর হাটে।
এদিকে, অনলাইনে পশু বিক্রি বাড়াতে অনেক খামারি নিয়েছেন নানা উদ্যোগ। কিন্তু, সেক্ষেত্রে লোকসান এড়াতে দেশের বাইরে থেকে অবৈধভাবে কোরবানি পশু প্রবেশ রুখতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে পশু প্রবেশে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। স্থানীয় খামারিদের পশু দিয়েই জেলার প্রায় শতভাগ চাহিদা মেটানো সম্ভব।
মৌলভীবাজারে এ বছর ৭৩ হাজার ৩৫টি কোরবানি পশুর চাহিদার বিপরীতে, স্থানীয় ২ হাজার ৩৬৫টি খামারসহ ব্যক্তি উদ্যোগে ৬৭ হাজার ৫২৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকি ৫ হাজার ৫০৬টি পশুর ঘাটতিও স্থানীয়ভাবেই পূরণ হবার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।