ফার্ম থেকে নয়, মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক মূল্যে ডিম কিনতে হয় ব্যবসায়ীদের। এ কারণে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁওয়ে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক সভায় এ কথা বলেন তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ।
তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে ডিম কিনতে হয়। সরাসরি ফার্ম থেকে কেনা যায় না। এই ক্রয়-বিক্রয়ে পাকা রশিদও পাওয়া যায় না। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করে।
মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরাসরি ফার্ম থেকে ডিম কিনতে পারলে ও সরকার নির্ধারিত দামে পেলে রাজধানীতেও কমবে ডিমের দাম। ন্যায্য মূল্যে ডিম বিক্রি সম্ভব হবে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, নির্ধারিত দাম ফার্ম পর্যায়ে কার্যকর করলে আড়ত পর্যায়ে দাম কমবে।
আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, সাত হাত বদলের কারণেই ডিমের দামে অস্থিরতা, দাম ক্রেতার নাগালের বাহিরে চলে গেছে। আড়তে অযৌক্তিক মূল্যে বিক্রি করা হলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এক লাখ ডিমে একজন ব্যবসায়ী ২০ হাজার টাকা লাভ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা অবশ্যই লাভ করবে, কিন্তু তা যৌক্তিক ভাবে হতে হবে। তা না হলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ভোক্তা অধিকারের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, ট্রাক স্ট্যান্ডসহ কোনো স্থানে চাঁদাবাজি হলে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদাবাজি বন্ধে কাজ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার। আর সংগঠনটির প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, উৎসমুখী সমস্যা সমাধানে কাজ করবে ভোক্তা অধিকার।