হাওড়কে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে গড়ে উঠেছে মৎস্য আড়ৎদারি ব্যবসা ও শুঁটকি শিল্প। কিন্তু কোনো সরকারি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণাগার না থাকায়, কুলিয়ারচরের এ ঐতিহ্যবাহী শুঁটকি শিল্প আজ অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। এতে আশঙ্কায় রয়েছেন এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
হাওড়ের প্রবেশদ্বার কুলিয়ারচরের কালী নদীর তীরে দাসপাড়া এলাকায় শতাধিক ডাঙিতে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত শুঁটকি। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে রপ্তানি করতে না পারা এবং সংরক্ষণাগারের অভাবে গত সিজনে উৎপাদিত প্রায় ৫০ কোটি টাকার শুঁটকি আটকা পড়ে আছে ডাঙিগুলোতে।
এদিকে, গত বছরে উৎপাদিত শুঁটকি যথাযথ সংরক্ষণ করতে না পারায় তার গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে কম দামে বিক্রি করেও বাজার পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যেই এ বছরের নতুন শুঁটকি উঠতে শুরু করেছে ডাঙিগুলোতে। এমতাবস্থায় নতুন উৎপাদিত এসব শুঁটকি বিক্রি নিয়েও অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন এ শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জানান, কুলিয়ারচরে চলতি মৌসুমে নিরাপদ ও মানসম্মত শুঁটকি উৎপাদনে নিয়মিত মনিটরিং, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে ৮১ জন উৎপাদনকারীর তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।
কুলিয়ারচরের বিষমুক্ত শুঁটকির বিশ্বব্যাপী কদর রয়েছে। বিশেষ করে ইন্ডিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বের ২০টির অধিক দেশে নিয়মিত চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি হয় এখাকার শুঁটকি। এছাড়া কুলিয়ারচরের পুঁটি মাছের চেপা শুঁটকির চাহিদা দেশের মধ্যে সবার শীর্ষে। তাই এ অঞ্চলে শুঁটকি সংরক্ষণাগারসহ ব্যবসা আরও প্রসারে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।