ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলমান রয়েছে। ফোর লেনে রূপান্তরের জন্য সড়কটির পাশে থাকা বিএডিসির সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলটি যা সবুজ প্রকল্প নামে পরিচিত সেটির বিভিন্ন অংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ফলে এ প্রকল্পটিই এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ, সরাইল, নাসিরনগর ও নবীনগরের প্রায় ২২টি ইউনিয়নের ১৬ হাজার হেক্টর জমি চাষ এই সেচের ওপর নির্ভরশীল। এ সেচের পানির ওপর নির্ভর করেই বছরে ৫৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন ইরি ধান উৎপাদিত হয়। তাই হঠাৎ সেচ খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এসব অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক।
এ বিষয়ে কথা বললে, সেচ কাজ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়েদ হোসেন।
আর, উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সেচ প্রকল্প সচল রাখার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান।
নকশা কিছুটা পরিবর্তন করে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাংসদ র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
দ্রুত কুলিং রিজার্ভারটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে প্রকল্পটি রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। সরকার জনস্বার্থে সেচ প্রকল্পটি চালু রাখবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।